উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন প্রশ্ন উত্তর 2022

উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন প্রশ্ন উত্তর 2022 HS Philosophy Suggestion দ্বাদশ শ্রেণির দর্শন প্রশ্ন উত্তর গুলো নিচে দেওয়া হলো। এখানে উচ্চমাধ্যমিক দর্শন অবরোহ মূলক তর্কবিদ্যা এর সমস্ত অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যেমন পরিপূরক শ্রেণি কাকে বলে এবং শূন্যগর্ভ কাকে বলে ও শূন্যগর্ভ শ্রেণি বলতে কী বোঝো এমন সকল প্রশ্ন উত্তর গুলি দেওয়া হয়েছে. পরিপূরক শ্রেণী কাকে বলে, শূন্যগর্ভ শ্রেণী কাকে বলে, প্রাকল্পিক বচন কাকে বলে, বৈকল্পিক বচন কাকে বলে।

এই প্রশ্নগুলি উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন পরিক্ষার (HS Philosophy Question Answer 2022) জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন প্রশ্ন উত্তর 2022 গুলি আগামী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে।

HS Philosophy Short Question Answer

উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন প্রশ্ন উত্তর 2022
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর: (প্রশ্নমান-১)
অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
প্রতিটি প্রশ্নের মান - ১

প্রথম অধ্যায় : যুক্তি 

১. সিদ্ধান্তবাক্য কাকে বলে?
Ans. কোনো যুক্তিতে যে বাক্যকে প্রমাণ করা হয়, তাকেই বলে সিদ্ধান্তবাক্য।

২. অবরোহ যুক্তির বৈধতা কীসের ওপর নির্ভরশীল?
Ans. অবরোহ যুক্তির বৈধতা যুক্তির আকারের ওপর নির্ভরশীল।

৩. আরোহের দুটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন বা লক্ষণ উল্লেখ করো।
Ans. আরোহের দুটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন বা লক্ষণ হলো — (i) যুক্তিবিদ্যা অক্রিমণ (ii) সামান্যীকরণ।

৪. যুক্তির বস্তুগত সত্যতা কাকে বলে?
Ans. যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলির সত্যতাকে যুক্তির বস্তুগত সত্যতা বলে।

৫. যুক্তি কাকে বলে?
Ans. অনুমান ভাষায় প্রকাশিত হলে তাকে যুক্তি বলে।

৬. যুক্তির অবয়বগুলি কী?
Ans. যুক্তির অংশগুলিকে বলে যুক্তির অবয়ব। অর্থাৎ, যেসব বচন দিয়ে যুক্তি গঠন করা হয়। সেগুলি পৃথকভাবে বা সম্মিলিতভাবে যুক্তির অবয়ব। যুক্তি প্রধানত দু’প্রকার— অবরোহ যুক্তি ও আরোহ যুক্তি। উভয় প্রকার যুক্তি একাধিক বচন দ্বারা গঠিত হয়। এই বচনগুলিই যুক্তির অবয়ব।

৭. যুক্তিবিদ্যা কী নিয়ে আলোচনা করে?
Ans. যুক্তিবিদ্যা মুলত এমন কতকগুলি সূত্র বা বিধি নিয়ে আলোচনা করে, যেগুলি দিয়ে বৈধ যুক্তিকে অবৈধ যুক্তির দ্বারা পৃথক করা যায়।

৮. নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?
Ans. দর্শনের যে শাখা সামাজিক ব্যক্তির কল্যাণের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে, তা-ই হলো নীতিবিদ্যা।

৯. অনুমান ও যুক্তির পার্থক্য কী?
Ans. অনুমান হলো একটা মানসিক প্রক্রিয়া এবং অনুমানের ভাষাগত রূপই হলো যুক্তি।

১০. যুক্তিবাক্য বা আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য কাকে বলে?
Ans. যে বাক্য থেকে সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে যুক্তিবাক্য বা আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য বলে।

১১. অবরোহ যুক্তি কাকে বলে?
Ans. যে যুক্তিতে আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে বলে অবরোহ যুক্তি।

১২. যুক্তি ও যুক্তির আকারের মধ্যে সম্পর্ক কী?
Ans. একটি যুক্তি হলো তার নির্দিষ্ট যুক্তি আকারের নিবেশন দৃষ্টান্ত।

১৩. যুক্তির আকার কাকে বলে?
Ans. একাধিক বচনগ্রাহকের প্রতীকী কাঠামোকে যুক্তির আকার বলা হয়।

১৪. আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি কী?
Ans. আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি হলো—প্রকৃতির একরূপতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়ম।

১৫. আরোহের সমস্যা কী?
Ans. আরোহের সমস্যা হলো – কীভাবে সামান্যীকরণ বৈধ হবে তা নির্ণয় করা।

১৬. বৈধতা ও সত্যতার মধ্যে পার্থক্য কী?
Ans. যুক্তির ধর্ম বৈধতা, কিন্তু সত্যতা হলো বচনের ধর্ম।

১৭. অবৈধ যুক্তি কাকে বলে?
Ans. যে যুক্তির আশ্রয়বাক্য সত্য অথচ সিদ্ধান্ত মিথ্যা তাকে অবৈধ যুক্তি বলে।

১৮. আরোহ যুক্তির দু’টি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans. (i) আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত সর্বদাই একাধিক যুক্তিবাক্য থেকে নিঃসৃত হয়। (ii) আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বাক্য অপেক্ষা সবসময় ব্যাপকতর হয়।

২০. অবরোহ যুক্তির একটি দৃষ্টান্ত দাও।
Ans. সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব। সকল দার্শনিক হয় মানুষ। = সকল দার্শনিক হয় মরণশীল জীব।

দ্বিতীয় অধ্যায় : বচন 

নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে তর্কবিজ্ঞানসম্মত বচনে রূপান্তরিত করো

১. রাজনীতিকরা কদাচিৎ সৎ।
Ans. L.F – O কোনো কোনো রাজনীতিবিদ নয় সৎ। গুণ : নঞর্থক, পরিমাণ : বিশেষ।

২. অধিকাংশ ছাত্র অঙ্কে কাঁচা।
Ans. LF – I কোনো কোনো ছাত্র হয় অঙ্কে কাঁচা।

৩. একটি ছাড়া সব ছাত্রই উপস্থিত আছে।
Ans. L.F – I কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন যারা উপস্থিত।

৪. খুব কম সংখ্যক লোকই প্রলোভনের উর্ধ্বে উঠতে পারে।
Ans. LF – O কোনো কোনো লোক নয় এমন যারা প্রলোভনের ঊর্ধ্বে উঠতে পারে।

৫. কেবলমাত্র ধার্মিকরাই সুখী।
Ans. L.F – A সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক।

৬. প্রত্যেকটি রত্ন মূল্যবান।
Ans. LF – A’সকল রত্ন হয় মূল্যবান। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : সামান্য

৭. সাদা হাতি আছে।
Ans. LF – I কোনো কোনো হাতি হয় সাদা। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : বিশেষ।

৮. ধাতু প্রয়োজনীয় দ্রব্য।
Ans. LF – A সকল ধাতু হয় মূল্যবান দ্রব্য। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : সামান্য

৯. প্রায় সব ছাত্রই পড়াশোনা করতে চায়।
Ans. LF – I কোনো কোনো ছাত্র হয় যারা পড়াশোনা করে।

১০. অধিকাংশ ছাত্র বিনয়ী।
Ans. L.F – I কোনো কোনো ছাত্র হয় বিনয়ী।

১১. এই প্রশ্নটি কঠিন নয়।
Ans. L.F – E এই প্রশ্নটি নয় কঠিন। গুণ :নঞর্থক, পরিমাণ : সামান্য

১২. যেকোনো দান গ্রহণযোগ্য নয়।
Ans. LF – O কোনো কোনো দান নয় গ্রহণযোগ্য। গুণ :নঞর্থক, পরিমাণ : বিশেষ

নীচের বাক্যগুলিকে তার্কিক আকারে রূপান্তরিত করে পদের ব্যাপ্যতা নির্ণয় করো

১৩. সাধু ব্যক্তিরাই সর্বদা সম্মানিত হন।
Ans. LF – A সকল সাধু ব্যক্তি হয় সম্মানিত।

১৪. স্ত্রীলোকগণ একান্তভাবে পুরুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট নয়।
Ans. LF – O কোনো কোনো স্ত্রীলোক নয় পুরুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট।

১৫. সোনা একটি মূল্যবান বস্তু।
Ans. L.F – A সকল সোনা হয় মূল্যবান বস্তু।

১৬. কিছু গল্প চমকপ্রদ নয়।
Ans. L.F – O কোনো কোনো গল্প নয় চমকপ্রদ। উদ্দেশ্য : ‘গল্প’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : ‘চমকপ্রদ’ (ব্যাপ্য)

১৭. প্রত্যেক লোকেরই ভুল হতে পারে।
Ans. L.F – A সকল লোক হয় এমন যারা ভুল করে।

১৮. শিক্ষিত ব্যক্তি কদাচিৎ শিশুর মতো আচরণ করে।
Ans. LF – O কোনো কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি নয় এমন যারা শিশুর মতো আচারণ করে। উদ্দেশ্য : ‘শিক্ষিত ব্যক্তি’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : “শিশুর মতো আচরণ করে’ (ব্যাপ্য)

১৯. অধিকাংশ ছাত্র ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়।
Ans. L.F – I কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন যারা ইংরেজিতে অকৃতকার্য। উদ্দেশ্য : ‘ছাত্র’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : ইংরেজিতে অকৃতকার্য’ (অব্যাপ্য)।

২০. যা চকচক করে তা-ই সোনা নয়।
Ans. L.F – O কোনো কোনো চকচকে বস্তু নয় সোনা। উদ্দেশ্য : ‘চকচকে বস্তু’ (ব্যাপ্য), বিধেয় : ‘সোনা’ (ব্যাপ্য)

২১. মানুষ কখনোই সুখী নয়।
Ans. L.F – E কোনো মানুষ নয় সুখী। উদ্দেশ্য : ‘মানুষ’ (ব্যাপ্য), বিধেয় : ‘সুখী’ (ব্যাপ্য)

২২. প্রায় সব বিদ্বান লোক বিনয়ী হন।
Ans. L.F – I কোনো কোনো বিদ্বান লোক হয় বিনয়ী। উদ্দেশ্য : ‘বিদ্বান লোক’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : “বিনয়ী’ (অব্যাপ্য)

২৩. যেকোনো বাড়িতেই ঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়া যায়।
Ans. LF – A সকল বাড়ি হয় এমন যেখানে ঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়া যায়।

২৪. প্রত্যেক রোগ মারাত্মক নয়।
Ans. L.F – O কোনো কোনো রোগ নয় মারাত্মক।

২৫. বিদ্বান ব্যক্তিরা কখনো কখনো পাগল হয়।
Ans. L.F – I কোনো কোনো বিদ্বান ব্যক্তি হয় পাগল। উদ্দেশ্য : ‘বিদ্বান ব্যক্তি’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : ‘পাগল’ (অব্যাপ্য)

২৬. ছাত্রদের সর্বত্রভাবে পরিশ্রমী হওয়া উচিত।
Ans. L.F – A সকল ছাত্র হয় এমন যারা পরিশ্রমী।

২৭. একমাত্র ধার্মিকরাই সুখী।
Ans. L.F – A সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক। উদ্দেশ্য : সুখী ব্যক্তি’ (ব্যাপ্য), বিধেয় : ‘ধার্মিক’ (অব্যাপ্য)

২৮. ধার্মিক ব্যক্তিগণ সাধারণত সুখী হন।
Ans. L.F – I কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী। উদ্দেশ্য : ধার্মিক ব্যক্তিগণ’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : ‘সুখী’ (অব্যাপ্য)।

২৯. উট পাখি উড়তে পারে না।
Ans. L.F – E কোনো উট পাখি নয় এমন যারা উড়তে পারে। উদ্দেশ্য : ‘উটপাখি’ (ব্যাপ্য), বিধেয় : ‘উড়তে পারে’ (ব্যাপ্য)

৩০. আম মাত্রই মিষ্টি হয় না।
Ans. LF – O কোনো কোনো আম নয় মিষ্টি। উদ্দেশ্য : “আম’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : ‘মিষ্টি’ (ব্যাপ্য)।

৩১. সকল লেখক প্রগতিশীল নয়।
Ans. L.F — O কোনো কোনো লেখক নয় প্রগতিশীল। উদ্দেশ্য : লেখক’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : ‘প্রগতিশীল’ (অব্যাপ্য)

৩২. লাল ফুলের গন্ধ নেই।
Ans. L.F – E কোনো লাল ফুল নয় গন্ধযুক্ত। উদ্দেশ্য : ‘লাল ফুল’ (ব্যাপ্য), বিধেয় : ‘গন্ধযুক্ত’ (ব্যাপ্য)

৩৩. অসাধু লোক ধনী হতে পারে।
Ans. L.F – I অসাধু লোক হয় ধনী।

৩৪. গোলাকার বর্গক্ষেত্র নেই।
Ans. L.F – E কোনো গোলাকার ক্ষেত্র নয় বর্গক্ষেত্র। উদ্দেশ্য : ‘গোলাকার’ (ব্যাপ্য), বিধেয় : ‘বর্গক্ষেত্র’ (অব্যাপ্য)

৩৫. মানুষ মদ্যপান করে।
Ans. L.F – I কোনো কোনো মানুষ হয় এমন যারা মদ্যপান করে। উদ্দেশ্য : মানুষ’ (অব্যাপ্য), বিধেয় : মদ্যপান করে’ (অব্যাপ্য)

৩৬. কেবল শিক্ষিত ব্যক্তিরা প্রগতিশীল।
Ans. L.F – A সকল প্রগতিশীল ব্যক্তি হয় শিক্ষিত।

নীচের বাক্যগুলিকে বচনে রূপান্তরিত করো এবং গুণ ও পরিমাণ নির্ণয় করো

৩৭. সব সাপ বিষধর নয়।
Ans. LF – O কোনো কোনো সাপ নয় বিষধর। গুণ :নঞর্থক, পরিমাণ : বিশেষ।

৩৮. বাঙালিরা বুদ্ধিমান।
Ans. L.F – I কোনো কোনো বাঙালি হয় বুদ্ধিমান। পরিমাণ : বিশেষ, গুণ : সদর্থক।

৩৯. অধিকাংশ ছাত্র তর্কবিদ্যা বোঝে না।
Ans. L.F – O কোনো কোনো ছাত্র নয় এমন যারা তর্কবিদ্যা বোঝে। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : বিশেষ

৪০. জ্ঞানীরা সাধারণত ভালো লোক।
Ans. LF – I কোনো কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি হয় ভালো লোক। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : বিশেষ।

৪১. পরিশ্রমী ব্যতীত কেউই সফল হয় না।
Ans. LF – A সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : সামান্য।

৪২. তিন এবং চার হয় সাত।
Ans. LF – A তিন ও চার -এর যোগফল হয় সাত। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : সামান্য

৪৩. একমাত্র দার্শনিকগণই সত্যাশী।
Ans. L.F – A সকল সত্যাদর্শী ব্যক্তি হয় দার্শনিক। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : সামান্য

৪৪. 70% ছাত্রই মেধাবী।
Ans. L.F – I কোনো কোনো ছাত্র হয় মেধাবী। গুণ : সদর্থক, পরিমাণ : বিশেষ।

৪৫. সে নয় শিক্ষিত ব্যক্তি।
Ans. L.F – E সে নয় শিক্ষিত ব্যক্তি। গুণ :নঞর্থক, পরিমাণ : সদর্থক

তৃতীয় অধ্যায় : বচনের বিরোধিতা 

১. তর্কবিদ্যায় বিরোধিতার অর্থ কী?
Ans. তর্কবিদ্যায় বিরোধিতার অর্থ হলো বচনের বিরোধিতা।

২. বচনের বিরোধিতা কাকে বলে?
Ans. যদি দু’টি বচনের একই উদ্দেশ্য ও একই বিধেয় থাকে, কিন্তু তাদের মধ্যে গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকেই পার্থক্য থাকে তাহলে বচন দু’টির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বলে বচনের বিরোধিতা।

৩. দুটি সামান্য বচনের মধ্যে কোন বিরোধিতার সম্বন্ধ হয়?
Ans. বিপরীত বিরোধিতার।

৪. অসম বিরোধিতা কাকে বলে?
Ans. দু’টি বচন গুণের দিক থেকে এক হয়েও যদি পরিমাণের দিক থেকে ভিন্ন হয় তবে উভয় গুণের মধ্যবর্তী সম্পর্ককে অসম বিরোধিতা বলা হয়।

৫. দু’টি বিশেষ বচনের মধ্যে কোন বিরোধিতার সম্বন্ধ হয়?
Ans. অধীন বিপরীত বিরোধিতার সম্বন্ধ হয়।

৬. অসম বিরোধিতার একটি উদাহরণ দাও।
Ans. অসম বিরোধিতার উদাহরণ হলো— A – সকল মানুষ হয় মরণশলি । I – কোনো মানুষ হয় মরণশীল।

৭. অসম বিরোধিতার বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans. যদি সামান্য বচনটি সত্য হয় তাহলে তার অনুরূপ বিশেষ বচনটি সত্য হবে। আর যদি বিশেষ বচনটি মিথ্যা হয় তবে সামান্য বচনটি মিথ্যা হবে।

৮. বিরুদ্ধ বিরোধিতা কাকে বলে?
Ans. দু’টি বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় এক হয়েও গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে যদি একটি বচনের বিরোধ দেখা যায় তবে তাদের সম্পর্ককে বিরুদ্ধ বিরোধিতার সম্পর্ক বলা হয়।

৯. বচনের বিরোধিতা কয় প্রকার?
Ans. বচনের বিরোধিতা চার প্রকার।

১০. তর্কবিদ্যায় দু’টি সমজাতীয় বচন কী হবে?
Ans. উদ্দেশ্য ও বিধেয় এক হবে।

১১. বিপরীত বিরোধিতায় কী জাতীয় পার্থক্য দেখা যায় ?
Ans. কেবলমাত্র গুণের পার্থক্য থাকে।

১২. কোন কোন বচনের মধ্যে অধীন বিপরীত বিরোধিতা গড়ে ওঠে?
Ans. I এবং O বচনের মধ্যে।

১৩. অধীন বিপরীত বিরোধিতার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
Ans. দু’টি বচন কখনোই একসঙ্গে মিথ্যা হতে পারে না কিন্তু সত্য হতে পারে

১৪. অধীন বিপরীত বিরোধিতার একটি উদাহরণ দাও।
Ans. অধীন বিপরীত বিরোধিতার একটি উদাহরণ হলো— I- কোনো কোনো মানুষ হয়। পাগল। O – কোনো কোনো মানুষ নয় পাগল।

১৫. যে দু’টি বচনের মধ্যে অসম বিরোধিতার সম্বন্ধ গড়ে ওঠে সেগুলি কী?
Ans. A -I অথবা E-O বচনের মধ্যে অসম বিরোধিতার সম্বন্ধ গড়ে ওঠে।

১৬. অসম বিরোধিতায় কোন বচনটিকে অতিবর্তী বলা হয়?
Ans. অসম বিরোধিতায় যে বচনটির পরিমাণ সার্বিক সেই বচনটিকে অতিবর্তী বলে।

১৭. অসম বিরোধিতায় কোন বচনটিকে অনুবর্তী বলে?
Ans. অসম বিরোধিতায় যে বচনটির পরিমাণ বিশেষ সেই বচনটিকে অনুবর্তী বলে।

১৮. বচনের বিরোধিতার প্রকারভেদ কী কী?
Ans. (i) বিপরীত বিরোধিতা (ii) বিরুদ্ধ বিরোধিতা (iii) অধীন বিপরীত বিরোধিতা (iv) অসম বিরোধিতা।

১৯. বচনের বিরোধিতার জন্য ক’টি বচন প্রয়োজন?
Ans. বচনের বিরোধিতার জন্য দুটি নিরপেক্ষ বচন প্রয়োজন।

২০. বচনের বিরোধিতার জন্য দুটি বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় কেমন?
Ans. বচন দু’টির উদ্দেশ্য ও বিধেয় একই থাকে।

২১. অধীন বিপরীত বিরোধিতা কাকে বলে?
Ans. যদি দু’টি বিশেষ বচনের একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় থাকে, শুধুমাত্র গুণের দিক থেকে। তাদের মধ্যে পার্থক্য থাকে, তাহলে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অধীন বিপরীত বিরোধিতা বলা হয়।

২২. বচনের বিরোধিতার জন্য কোন বচনের প্রয়োজন?
Ans. নিরপেক্ষ বচন।

২৩. বিরুদ্ধ বিরোধিতার একটি উদাহরণ দাও।
Ans. বিরুদ্ধ বিরোধিতার একটি উদাহরণ হলো— A – সকল শিক্ষক হয় জ্ঞানী। O – কোনো কোনো শিক্ষক নয় জ্ঞানী।

২৪. বিরুদ্ধ বিরোধিতায় কী জাতীয় পার্থক্য লক্ষ করা যায়?
Ans. উভয় বচনের গুণ ও পরিমাণের পার্থক্য দেখা যায়।

২৫. বিরুদ্ধ বিরোধিতার একটি শর্ত লেখো।
Ans. দু’টি বচন একসঙ্গে সত্য বা মিথ্যা হতে পারে না।

২৬. বিরুদ্ধ বিরোধিতা কোন কোন বচনের মধ্যে হয়?
Ans. A ও O অথবা E ও I বচনের মধ্যে।

২৭. E বচনের বিপরীত বচন কোনটি?
Ans. A বচন হলো E বচনের বিপরীত বচন।

২৮. O বচনের অধীন বিপরীত বচন কোনটি?
Ans. O বচনের অধীন বিপরীত বচন হলো I বচন।

২৯. E বচনের অসম বিরোধী বচন কোনটি?
Ans. O বচন হলো E বচনের অসম বিরোধী বচন।

৩০. I বচনের বিরুদ্ধ বচন কোনটি?
Ans. E বচন হলো I বচনের বিরুদ্ধ বচন।

৩১. অসম বিরোধিতায় কীরূপ পার্থক্য দেখা যায়?
Ans. পরিমাণের পার্থক্য দেখা যায়।

৩২. অ্যারিস্টটল কী স্বীকার করেননি?
Ans. যুক্তিবিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল অসম বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি।

৩৩. A বচনের বিরুদ্ধ বচন কোনটি?
Ans. O বচন হলো A বচনের বিরুদ্ধ বচন।

৩৪. অসম বিরোধিতাকে প্রকৃত বিরোধিতা বলা হয় না কেন?
Ans. যে দুটি বচনের মধ্যে অসম বিরোধিতার সম্পর্ক হয়, সেগুলি একসঙ্গে সত্য হতে পারে। আবার একসঙ্গে মিথ্যাও হতে পারে। সেজন্য অসম বিরোধিতা প্রকৃত বিরোধিতা নয়।

৩৫. বিপরীত বিরোধিতা কাকে বলে?
Ans. একই উদ্দেশ্য ও একই বিধেয়যুক্ত দুটি সার্বিক বচনের মধ্যে যদি গুণের পার্থক থাকে, তাহলে ওই দুটি বচনের একটিকে অন্যটির বিপরীত বচন বলে এবং তাদের মধ্যবর্তী সম্বন্ধকে বিপরীত বিরোধিতা বলে।

৩৬. বিপরীত বিরোধিতার একটি উদাহরণ দাও।
Ans. বিপরীত বিরোধিতার একটি উদাহরণ হলো— A- সকল মানুষ হয় মরণশীল। E- কোনো মানুষ নয় মরণশীল।

৩৭. কোন কোন বচনের মধ্যে বিপরীত বিরোধিতার সম্বন্ধ হয়?
Ans. A ও E বচনের মধ্যে বিপরীত বিরোধিতার সম্বন্ধ হয়।

৩৮. বচনের বিরোধিতায় কীরূপ পার্থক্য দেখা যায় ?
Ans. গুণ ও পরিমাণের পার্থক্য দেখা যায়।

৩৯. বচনের বিরোধিতার একটি উদাহরণ দাও।
Ans. বচনের বিরোধিতার উদাহরণ হলো— সকল মানুষ হয় মরণশীল (a) কোনো মানুষ নয় মরণশীল (E)।

চতুর্থ অধ্যায় : অমাধ্যম অনুমান 

১. মাধ্যম অনুমান কাকে বলে ?
Ans. যে অবরোহ অনুমানে একটির বেশি হেতুবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মাধ্যম অনুমান বলে।

২.অ-সরল আবর্তন কাকে বলে?
Ans. যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ পৃথক হয়, তাকে অ-সরল আবর্তন বলে।

৩. অসম আবর্তন কাকে বলে?
Ans. যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচনের পরিমাণ ভিন্ন হয় তাকে অসম আবর্তন বলে।

৪. বিবর্তনকে অমাধ্যম অনুমান বলা হয় কেন?
Ans. বিবর্তনে সিদ্ধান্ত কোনো মাধ্যম ছাড়াই অর্থাৎ অন্য আশ্রয়বাক্য ছাড়াই সরাসরি নিঃসৃত হয়; তাই বিবর্তনকে অমাধ্যম অনুমান বলা হয়।

৫. অবরোহ অনুমান কয়প্রকার ও কী কী ?
Ans. দুই প্রকার – (i) অমাধ্যম অনুমান (ii) মাধ্যম অনুমান।

৬. আবর্তন কাকে বলে?
Ans. যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের গুণ অপরিবর্তিত রেখে উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায়সংগতভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্যে পরিণত করা হয়, তাকে আবর্তন বলে।

৭. ব্যাবর্তন বা বিবর্তন বা প্রতিবর্তন কাকে বলে?
Ans. যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচনটির গুণের পরিবর্তন করে এবং সেই বচনটির বিধেয়ের বিরুদ্ধের পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় পদরূপে গ্রহণ করে একটি নতুন বচন গ্রহণ করা হয় তাকে ব্যাবর্তন বা বিবর্তন বা প্রতিবর্তন বলা হয়।

৮. আবর্তনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটিকে কী বলা হয়?
Ans. আবর্তিত।

৯. বিবর্তনের বিধেয়টি কোন পদ হয় ?
Ans. বিরুদ্ধ পদ হয়।

১০. বস্তুগত বিবর্তন কাকে বলে?
Ans. যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত বচনের আকারগত বিবর্তন না করে তার অর্থের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করা হয় এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে প্রদত্ত বচনটিকে বিবর্তন করা হয়, তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।

১১. বিবর্তনের দুটি নিয়ম লেখো।
Ans. আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে। আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধপদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে।

১২. অনুমান (বা যুক্তি) কয় প্রকার ও কী কী?
Ans. দুই প্রকার – (i) অবরোহ যুক্তি ও (ii) আরোহ যুক্তি।

১৩. বিবর্তনের ক্ষেত্রে হেতুবাক্যটিকে কী বলা হয়?
Ans. বিবর্তনীয়।

১৪. বস্তুগত বিবর্তনের স্রষ্টা কে?
Ans. যুক্তিবিজ্ঞানী বেন (Bain)।

১৫. বিরুদ্ধ পদ কাকে বলে?
Ans. যদি দু’টি পদ এমন দুটি শ্রেণি বোঝায়, যাদের কোনো বস্তুই উভয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না এবং ওই দুটি পদ দ্বারা নির্দিষ্ট শ্রেণির সবটুকু সম্পূর্ণ হয়, তখন সেই বিরোধী দুটি পদকে পরস্পরের বিরুদ্ধ পদ বলা হয়।

১৬. মাধ্যম অনুমানে ক’টি আশ্রয়বাক্য থাকে?
Ans. দুই বা ততোধিক আশ্রয়বাক্য থাকে।

১৭. বিবর্তনের বৈধতার গুণ-সংক্রান্ত নিয়মটি কী?
Ans. আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে, আর আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।

১৮. নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে বচনে রূপান্তরিত করে আবর্তন করো

১. শুধু ধার্মিক ব্যক্তিরাই সুখী।
Ans. L.F. – A সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক (আবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী (আবর্তিত)

২. প্রত্যেক কবিই প্রতিভাশালী।
Ans. L.F. – A সকল কবি হয় প্রতিভাশালী (আবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো প্রতিভাশালী ব্যক্তি হয় কবি (আবর্তিত)

৩. বৈজ্ঞানিক দার্শনিক হতে পারেন।
Ans. L.F. – I কোনো কোনো বৈজ্ঞানিক হন দার্শনিক (আবর্তনীয়)।

∴ 1 কোনো কোনো দার্শনিক হন বৈজ্ঞানিক (আবর্তিত)
৪. খুব অল্প লোকই বুদ্ধিমান।
Ans. L.F. – 1 কোনো কোনো লোক হয় বুদ্ধিমান (আবর্তনীয়) ।
∴ I কোনো কোনো বুদ্ধিমান হয় লোক (আবর্তিত)

৫. অশিক্ষিত মানুষও বুদ্ধিমান।
Ans. L.F. – I কোনো কোনো অশিক্ষিত মানুষ হয় বুদ্ধিমান (আবর্তনীয়)
∴ 1 কোনো কোনো বুদ্ধিমান মানুষ হয় অশিক্ষিত (আবর্তিত)

৬. হলুদ পাখি আছে।
Ans. L.F. – I কোনো কোনো পাখি হয় হলুদ (আবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো হলুদ জীব পাখি হয় (আবর্তিত)

৭. শ্রমিকরা কখনোই শোষক নয়।
Ans. L.F. – E কোনো শ্রমিক নয় শোষক (আবর্তনীয়)
∴ E কোনো শোষক নয় শ্রমিক (আবর্তিত)

৮. পরিশ্রমী ছাড়া কেউই জীবনে সফল হতে পারে না।
Ans. L.F. – A সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী (আর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো পরিশ্রমী ব্যক্তি হয় সফল (আবর্তিত)

৯. কোনো মানুষ সুখী নয়।
Ans. L.F. – E কোনো মানুষ নয় সুখী (আবর্তনীয়)
∴ E কোনো সুখী নয় মানুষ (আবর্তিত)
L.F. – E কোনো পাখি নয় পশু (আবর্তনীয়)
∴ E কোনো পশু নয় পাখি (আবর্তিত)

১০. সংগীত কে না ভালোবাসে।
Ans. L.F. – A সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা সংগীত ভালোবাসে (আবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো ব্যক্তি যারা সংগীত ভালোবাসে হয় ব্যক্তি (আবর্তিত)

১১. কেবল ছাত্ররাই এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে।
Ans. L.F. – A সকল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হয় ছাত্র (আবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন যারা এই প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী (আবর্তিত)।

১২. ব্যবসায়িকরা কদাচিৎ সৎ হয়।
Ans. L.F. – O কোনো কোনো ব্যবসায়িক নয় সৎ (আবর্তিত)
∴ O বচনে আবর্তন সম্ভব নয়।

১৩. কবিরা সাধারণত শান্তিপ্রিয় হন।
Ans. L.F. – 1 কোনো কোনো কবি হন শান্তিপ্রিয় ব্যক্তি (আবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো শান্তিপ্রিয় ব্যক্তি হন কবি (আবর্তিত)

১৪. সমস্ত কাক কালো নয়।
Ans. L.F. – O কোনো কোনো কাক নয় কালো (আবর্তিত)
∴ O বচনের আবর্তন সম্ভব নয়।

১৯. নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে বচনে রূপান্তরিত করে বিবর্তন করো

১. অধিকাংশ শিক্ষিত ব্যক্তিই সাম্যবাদী।
Ans. LF. – I কোনো কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি হয় সাম্যবাদী (বিবর্তনীয়)
∴ O কোনো কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি নয় অ-সাম্যবাদী (বিবর্তিত)
L.F. – I কোনো কোনো প্রতিবেশী হয় সহানুভূতিশীল (বিবর্তনীয়)
∴ O কোনো কোনো প্রতিবেশী নয় অ-সহানুভূতিশীল (বিবর্তিত)

২. শুধুমাত্র সৎ ব্যক্তিরাই সুখী।
Ans. L.F. – A সকল সুখী ব্যক্তি হয় সৎ (বিবর্তনীয়)।
∴ E কোনো সুখী ব্যক্তি নয় সৎ (বিবর্তিত)।

৩. অধিকাংশ মানুষ সত্য কথা বলে না।
Ans. L.F. – O কোনো কোনো মানুষ নয় সত্যবাদী (বিবর্তনীয়)
∴ I কোনো কোনো মানুষ হয় অ-সত্যবাদী (বিবর্তিত)

৪. একমাত্র স্নাতকেরাই এই পদের প্রার্থী হতে পারে।
Ans. L.F. – A সকল এই পদের প্রার্থী হয় স্নাতক (বিবর্তনীয়)
∴ E কোনো এই পদের প্রার্থী নয় অ-স্নাতক (বিবর্তিত)

৫. মিথ্যাবাদীরা অবিশ্বাসী হয়।
Ans. L.F. – A সকল মিথ্যাবাদী হয় অবিশ্বাসী (বিবর্তনীয়)
∴ E কোনো মিথ্যাবাদী নয় অবিশ্বাসী (বিবর্তিত)।

৬. অপ্রাপ্ত বয়স্করা ভোট দিতে পারে না।
Ans. L.F. – E কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি নয় এমন যারা ভোট দিতে পারে না (বিবর্তনীয়)
∴ A সকল অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি হয় অ-ভোটদাতা (বিবর্তিত)

৭. বেশিরভাগ লোকই কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
Ans. L.F. – I কোনো কোনো লোক হয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন (বিবর্তনীয়)
∴ O কোনো কোনো লোক নয় অ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন (বিবর্তিত)

৮. পলাশ ফুলের গন্ধ নেই।
Ans. L.F. – E কোনো পলাশ ফুল নয় গন্ধযুক্ত (বিবর্তনীয়)।
∴ A সকল পলাশ ফুল হয় অ-গন্ধযুক্ত (বিবর্তিত)।

৯. অশিক্ষাই অশান্তির মূল।
Ans. L.F. – A সকল অশিক্ষাই হয় অশান্তির মূল (বিবর্তনীয়)।
∴ E কোনো অশিক্ষাই নয় অ-অশান্তির মূল (বিবর্তিত)

১০. কোনো শিক্ষক বিজ্ঞানী নয়।
Ans. L.F. – E কোনো শিক্ষক নয় বিজ্ঞানী (বিবর্তনীয়)
∴ A সকল শিক্ষক হয় অ-বিজ্ঞানী (বিবর্তিত)

১১. কোনো পাখিই স্তন্যপায়ী নয়।
Ans. L.F. – E কোনো পাখি নয় স্তন্যপায়ী (বিবর্তনীয়) ।
∴ A সকল পাখি হয় অ-স্তন্যপায়ী (বিবর্তিত)

১২. কেবলমাত্র কবিরাই আবেগপ্রবণ।
Ans. L.F. – A সকল আবেগপ্রবণ ব্যক্তি হয় কবি (বিবর্তনীয়)
∴ E কোনো আবেগপ্রবণ ব্যক্তি নয় অ-কবি (বিবর্তিত)

১৩. সব তিমি হয় স্তন্যপায়ী।
Ans. L.F. – A সকল তিমি হয় স্তন্যপায়ী (বিবর্তনীয়)
∴ E কোনো তিমি নয় অ-স্তন্যপায়ী (বিবর্তিত)

ষষ্ঠ অধ্যায় : প্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক ন্যায়

১. প্রাকল্পিক বচনের কয়টি অংশ ও কী কী ?
Ans. দু’টি অংশ – (i) পূর্বগ (ii) অনুগ।

২. ধ্বংসমূলক প্রাকল্পিক ন্যায়ে কী দোষ ঘটে?
Ans. পূর্বৰ্গ অস্বীকারজনিত দোষ।

৩. বৈকল্পিক বচন কাকে বলে?
Ans. যে সাপেক্ষ ন্যায়ের একটি আশ্রয়বাক্য বৈকল্পিক বচন, অপর আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষ বচন তাকে বৈকল্পিক বচন বলে।

৪. বৈকল্পিক বচনের প্রথম অংশকে কী বলা হয়?
Ans. প্রথম অংশকে প্রথম বিকল্প বলা হয়।

৫. বৈকল্পিক বচনের দ্বিতীয় অংশকে কী বলা হয়?
Ans. প্রথম অংশকে দ্বিতীয় বিকল্প বলা হয়।

৬. M.P. বলতে কী বোঝো?
Ans. এটা হলো পূর্বগকে স্বীকার করে অনুগকে স্বীকার করার নিয়ম।

৭. M.T. বলতে কী বোঝো?
Ans. এটা হলো অনুগকে অস্বীকার করে পূর্বগকে অস্বীকার করার নিয়ম।

৮. প্রাকল্পিক ন্যায়ের প্রথম নিয়মটি কী?
Ans. প্রাকল্পিক বচনের পূর্বগকে নিরপেক্ষ হেতুবাক্যে স্বীকার করার পর সিদ্ধান্তে অনুগকে স্বীকার করতে হয়।

৯. প্রাকল্পিক ন্যায়ের দ্বিতীয় নিয়মটি কী?
Ans. প্রাকল্পিক বচনের অনুগকে নিরপেক্ষ হেতুবাক্যে অস্বীকার করার পর সিদ্ধান্তে পূর্বগকে অস্বীকার করতে হয়।

১০. প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের সিদ্ধান্তটি কোন বচন হয়?
Ans. সিদ্ধান্তটি নিরপেক্ষ বচন হয়।

১১. প্রাকল্পিক বচনের ‘যদি-তবে’ অংশটিকে কী বলা হয়?
Ans. প্রাকল্পিক বচনের সংযোজক বলা হয়।

১২. যদি মেঘ করে তবে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয়নি
∴ মেঘ করেনি। এটি কী ধরনের যুক্তি ?
Ans. অন্তর অবৈধ প্রাকল্পিক যুক্তি।

১৩. যদি পরিশ্রম করো, তবে সফল হবে। পরিশ্রম করেছে
∴ সিদ্ধান্তটি কী হবে?
Ans. সফল হবে।

১৪. বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতার নিয়ম উল্লেখ করো।
Ans. (i) অবিসংবাদী অর্থে – যেকোনো একটি বিকল্পকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে অস্বীকার করে অন্য বিকল্পটিকে সিদ্ধান্তে স্বীকার করা না হলে বৈধ হয়। (ii) বিসংবাদী অর্থে – যেকোনো একটি বিকল্পকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে স্বীকার করে অন্য বিকল্পটিকে সিদ্ধান্তে অস্বীকার করলে বৈধ হয়।

১৫. অনুগ স্বীকারজনিত দোষের একটি উদাহরণ দাও।
Ans. যদি মেঘ করে তবে বৃষ্টি হবে।
বৃষ্টি হচ্ছে
∴ মেঘ করেছে।

১৬. বিসংবাদী বৈকল্পিক বচনের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
Ans. মানুষটি জীবিত অথবা মৃত
মানুষটি জীবিত
∴ মানুষটি মৃত নয়।

১৭. পূর্বকল্প কাকে বলে?
Ans. প্রাকল্পিক বচনে যদি’ (IF) -এর পরবর্তী অংশকে বলা হয় পূবর্গ বা পূর্বকল্প।

১৮. প্রাকল্পিক বচনের প্রথম অংশকে কী বলা হয়?
Ans. প্রথম অংশকে পূর্বগ বলা হয়।

১৯. প্রাকল্পিক বচনের দ্বিতীয় অংশকে কী বলা হয়?
Ans. দ্বিতীয় অংশকে অনুগ বলা হয়।

২০. অনুকল্প কাকে বলে?
Ans. প্রাকল্পিক বচনে তবে’ বা ‘তা হলে’-এর পরবর্তী অংশকে বলা হয় অনুগ বা অনুকল্প।

সপ্তম অধ্যায় : বুলীয় ভাষ্য ও ভেনচিত্র

১. শূন্য শ্রেণির দু’টি উদাহরণ দাও।
Ans. পক্ষীরাজ ঘোড়ার শ্রেণি এবং মৎস্যকন্যার শ্রেণি।

২. অ-শূন্য শ্রেণির দু’টি উদাহরণ দাও।
Ans. মানুষ, পাহাড়

৩. শূন্যগর্ভ শ্রেণি কাকে বলে?
Ans. যে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত কোনো বস্তু যা ব্যক্তির বাস্তব অস্তিত্ব নেই, তাকে শূন্যগর্ভ। শ্রেণি বলে।

৪. অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য কাকে বলে ?
Ans. কোনো বচনের মাধ্যমে যদি অন্তত কোনো একটি ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্বকে ঘোষণা করা হয়, তবে তাকে অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য বলা হয়।

৫. অশূন্য বা সাত্ত্বিক শ্রেণি কাকে বলে?
Ans. যে শ্রেণির অন্তর্গত অন্তত একজন সদস্যেরও বাস্তব অস্তিত্ব আছে তাকে অশূন্য বা সাত্ত্বিক শ্রেণি বলে।

৬. একক শ্রেণি কী?
Ans. যে শ্রেণিতে মাত্র একটি সদস্য বর্তমান, তাকে একক শ্রেণি বলে।

৭. পরিপূরক শ্রেণি কাকে বলে?
Ans. মূল শ্রেণির বিরুদ্ধ শ্রেণিকে পরিপূরক শ্রেণি বলা হয়।

৮. কোন কোন বচন শূন্য বচন হিসেবে পরিচিত?
Ans. A ও E বচন বা সামান্য বচন দু’টি শূন্য বচন হিসেবে পরিচিত।

৯. কোন কোন বচন অশূন্য বচন হিসেবে পরিচিত?
Ans. I এবং O বচন বা বিশেষ বচন দু’টি অশূন্য বচন হিসেবে পরিচিত।

১০. ‘পক্ষীরাজ ঘোড়া’ পদটি কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করে?
Ans. শূন্য শ্রেণিকে

১১. ‘ভালো গায়ক’ পদটি কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করে?
Ans. অশূন্য শ্রেণিকে।

১২. A বচনের ভেনচিত্র কী?
Ans. A -এর ভেনচিত্র হলো S P.

১৩. E বচনের ভেনচিত্র কী?
Ans. E -এর ভেনচিত্র হলো S P.

১৪. I বচনের ভেনচিত্র কী?
Ans. I -এর ভেনচিত্র হলো S P

১৫. O বচনের ভেনচিত্র কী?
Ans. O -এর ভেনচিত্র হলো S P

১৬. শূন্যগর্ভ শ্রেণির প্রথম প্রবক্তা কে?
Ans. জর্জ বুল।

১৭. S নামক শূন্য শ্রেণির ভেনচিত্র কী?
Ans. S

অষ্টম অধ্যায় : সত্যাপেক্ষ

১. সংযোগী কাকে বলে ?
Ans. সংযৌগিক বচনের উপাদান বচনগুলিকে বলা হয় সংযোগী।

২. সরল বচন কাকে বলে?
Ans. যে বচনের কোনো অঙ্গবাক্য নেই, তাকেই সরল বচন বলে।

৩. নিষেধক বচন কী ?
Ans. যে বচনে একটি নঞর্থক বা না-বাচক শব্দ থাকে তাকে নিষেধক বচন বলে।

৪. সংকেত কী?
Ans. সংকেত হলো একটি প্রতিনিধিত্বমূলক চিহ্ন যার দ্বারা বাক্য বা বচন বা তার কোনো অংশকে নির্দেশ করা হয়।

৫. ধ্রুবক কাকে বলে ?
Ans. ধ্রুবক হলো সেই চিহ্ন যার একটি নির্দিষ্ট অর্থ আছে এবং যেগুলি পরিবর্তিত নয়।

৬. প্রতীক কাকে বলে?
Ans. কোনো কিছু বোঝাবার, ব্যক্ত করবার বা কোনো কিছু নির্দেশ করার জন্য যে চিহ্ন বা সংকেত বা লিপি ব্যবহার করা হয়, তাকে ‘প্রতীক’ বলে।

৭. স্বতঃসত্য বচনাকার কীরূপ বা কাকে বলে?
Ans. যে বচনাকারের প্রধান স্তরের প্রধান যোজকের সবক’টি সারিতেই সত্য হয় তাকে স্বতঃসত্য বচনাকার বলে।

৮. সত্যাপেক্ষ বচন কয় প্রকার?
Ans. পাঁচ প্রকার। যথা— (i) নিষেধক (ii) সংযৌগিক (iii) বৈকল্পিক (iv) প্রাকল্পিক (v) দ্বিপ্রাকল্পিক।

৯. বচনের সত্যমূল্য বলতে কী বোঝায়?
Ans. বচনের সত্যমূল্য বলতে বোঝায় বচনটির সত্যতা অথবা মিথ্যাত্বকে।

১০. সত্যমূল্যের প্রেক্ষিতে বচন কয় প্রকার ও কী কী?
Ans. তিন প্রকার — (i) স্বতঃসত্য (ii) স্বতঃমিথ্যা (iii) আপতিক।

১১. p ˅~ p -বচনাকারটি কখন মিথ্যা হবে?
Ans. p-এর মান সত্য হলে।

১২. বৈকল্পিক বচন কখন মিথ্যা হয়?
Ans. সব বিকল্প মিথ্যা হলে সমগ্র বৈকল্পিক বচনটি মিথ্যা হয়।

১৩. নির্দেশক স্তম্ভ ও প্রধান স্তম্ভ কাকে বলে?
Ans. সত্যসারণির অঙ্গবচনগুলি নিয়ে যেসকল স্তম্ভ গড়ে ওঠে তাদের বলা হয়। নির্দেশক স্তম্ভ এবং সত্যসারণির যে স্তম্ভ থেকে সত্যসারণিটির সত্যমূল্য নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রধান স্তম্ভ বলা হয়।

১৪. প্রতীক কত প্রকার ও কী কী ?
Ans. ভর দু’প্রকার – (i) শাব্দ প্রতীক (ii) আশাব্দ প্রতীক।

আরও পড়ুনঃ

এই সাইটের উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে যেমন এই সাজেশন গুলি ফলো করলে আপনি পরিক্ষায় ৯০% কমন প্রশ্ন পাবেন। ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার জন্য অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর রয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সাধারণ জ্ঞান, বিভিন্ন পরিক্ষার প্রস্তুতি, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনার এই উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন গুলি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন যাতে তারাও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারে আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন