ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 2021

আবহবিকার কাকে বলে?

আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদির প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরের খনিজ একই স্থানে থেকে যান্তিক এবং রাসায়নিক ভাবে চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে আবহবিকার বলে।

পুঞ্জিত ক্ষয় কাকে বলে?

অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর আবহবিকার প্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলারাশি ধীর গতিতে ভূমির ঢাল বরাবর উপর থেকে নিচে নেমে আসার প্রক্রিয়াকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে

আরও পড়ুনঃ

আবহবিকার ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের মধ্যে পার্থক্য

সংজ্ঞা:

আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত দ্বারা শিলার বিকার বা চরিত্র গত পরিবর্তনের ঘটনাকে আবহবিকার বলে।

অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর আবহবিকার প্রাপ্ত শিলা চূর্ণ পূঞ্জাকারে ধীরগতিতে উপর থেকে নিচের দিকে নেমে আসার ঘটনাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে।

গতি:

আবহবিকার অত্যন্ত ধীর গতিতে ঘটে থাকে

পুঞ্জিত ক্ষয় ধীর অথবা দ্রুত উভয় গতিতেই ঘটে থাকে।

পদার্থের ধর্মের পরিবর্তন:

আবহবিকারের ফলে পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটে।

পুঞ্জিত ক্ষয়ে পদার্থের ভৌতধর্মের পরিবর্তন ঘটলেও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটে না।

পদার্থের অবস্থান:

আবহবিকার প্রাপ্ত পদার্থ সমূহ একই স্থানে থাকে এবং পদার্থের অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটে না।

পুঞ্জিত ক্ষয়ে পদার্থ সমূহের অবস্থানের স্থানান্তর ঘটে এবং পদার্থ সমূহ ধীর গতিতে উপর থেকে নিচে নামতে থাকে।

পর্যায়:

আবহবিকার হল ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়।

পুঞ্জিত ক্ষয়‌ হল আবহবিকারের পরবর্তী পর্যায় বা নগ্নীভবনের প্রাথমিক পর্যায়।

নিয়ন্ত্রক সমূহ:

আবহবিকারের নিয়ন্ত্রক সমূহ হল আবহাওয়ার উপাদান যেমন বায়ুপ্রবাহ, সূর্যালোক, সূর্যের উষ্ণতা, মেঘাচ্ছন্নতা, তুষার পাত, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি।

পুঞ্জিত ক্ষয়ের নিয়ন্ত্রক সমূহ হল পৃথিবীর অভিকর্ষক বল এবং বিভিন্ন বহির্জাত শক্তি যেমন জলপ্রবাহ, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্র তরঙ্গ ইত্যাদি।

শ্রেণীবিভাগ:

প্রধানত তিন প্রকার ১) যান্তিক ২) রাসায়নিক ৩) জৈব

প্রধানত চার প্রকার ১) ধীরপ্রবাহ ২) দ্রতপ্রবাহ ৩) ধস ৪) অবনমন

ঘটনাস্থল:

আবহবিকার পৃথিবীর যে কোন স্থানে ঘটতে পারে।

পুঞ্জিত ক্ষয় সাধারণত ঢালযুক্ত অঞ্চলে ও পার্বত্য অঞ্চলে ঘটে থাকে।

আবহবিকার ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের মধ্যে পার্থক্য


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন