বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য কাকে বলে? অস্তিত্ব মূলক দোষ কি উদাহরণ

বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য কাকে বলে

কোন একটি বচনের মাধ্যমে যদি কোন একটি বিশেষ বস্তু অথবা ব্যাক্তির অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয় তাকে বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য বলে।

যদি কোন বচনে উদ্দেশ্য পদ নির্দেশিত কোন একটি ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে, সেই বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে। যেমন: কোন কোন ফুল হয় লাল
ব্যাখা: ফুল শ্রেণীর মধ্যে অন্তত একজন একটি ফুল আছে যেটি লাল অর্থাৎ এই বচনটির অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে।

আবার, যদি কোন বচনে উদ্দেশ্য পদ কোন ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্বের কথা ঘোষণা না করে, সেই বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য নেই। যেমন: সকল মানুষ হয় মরণশীল
ব্যাখা: মানুষ নামে যদি কোন শ্রেণী থাকে তবে তার সমস্ত সদস্যই মরণশীল অর্থাৎ মরণশীল শ্রেনী ছাড়া মানুষ শ্রেণীর কোন অস্তিত্ব নেই অর্থাৎ এই বচনটির অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য নেই।

আধুিনক প্রতিকী যুক্তি বিজ্ঞান এর প্রতিষ্ঠাতা ও গনিত শাস্ত্রবিদ জর্জ বুল হলেন অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য ধারণার প্রবর্তক। তিনি সর্ব প্রথম অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য কথা স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুনঃ বচন কাকে বলে

অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে কোন বচনে

I বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে I বচনে যখন বলা হয় 'কোন কোন মানুষ হয় সৎ' এর অর্থ বাস্তবে অন্তত একজন মানুষ আছে যে সৎ নয় অর্থাৎ মানুষ শ্রেণীতে অন্তত একজন সদস্য আছে যে সৎ নয়।

O বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে O বচনে যখন বলা হয় 'কোন কোন ছাত্র নয় বুদ্ধিমান' এর অর্থ অন্তত একজন ছাত্র বাস্তবে আছে যে বুদ্ধিমান অর্থাৎ ছাত্র শ্রেণীতে অন্তত একজন সদস্য আছে যে বুদ্ধিমান।

বুলের মতে A বচনের কোন অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য নেই। A বচনে যখন বলা হয় 'সকল মানুষ হয় মরণশীল' তখন বুলের মতে এর অর্থ যদি মানুষ নামে কোন শ্রেণী থাকে তবে সেই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সদস্যই মরণশীল। কিন্তু মানুষ নামে কোন শ্রেণী আছে তা A বচন ঘোষণা করছে না।

আবার A বচনের মতো E বচনের ও কোন অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য নেই E বচনে যখন বলা হয় 'কোন মানুষ নয় অমর' ইহার অর্থ মানুষ নামে যদি কোন শ্রেণী থেকে থাকে তবে সেই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত কোন সদস্যই অমর নয়। কিন্তু মানুষ নামে কোন শ্রেণী আছে তা E বচন ঘোষণা করছে না।

জর্জ বুলের মতে I ও O বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে এবং A ও E বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য নেই।

অস্তিত্ব মূলক দোষ কাকে বলে উদাহরণ

বুলের মতে যে বচনের অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য নেই সেই বচনটিকে যুক্তিবাক্য ধরে নিয়ে যদি এমন সিদ্ধান্ত করা হয় যার অস্তিত্ব মূলক তাৎপর্য আছে তাহলে যে দোষ সৃষ্টি হবে তাকে বচনের অস্তিত্ব মূলক দোষ বলে।

অর্থাৎ, সামান্য বচনকে যুক্তি বাক্য ধরে নিয়ে সিদ্ধান্ত যদি বিশেষ হয় তাহলে যে দোষ সৃষ্টি হয় তাকে অস্তিত্ব মূলক দোষ বলে।

অস্তিত্ব মূলক দোষ উদাহরণ:
সকল শিশু হয় সরল (A)
কোন কোন শিশু হয় সরল (I)
- যুক্তিটি অস্তিত্ব মূলক দোষে দুষ্ট

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন