সৌরপরিবারের গ্রহগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় যথা অন্তঃস্থ গ্রহ ও বহিস্থ গ্রহ। সৌরপরিবারের প্রথম চারটি গ্রহ যথা বুধ শুক্র পৃথিবী ও মঙ্গলকে সৌরপরিবারের অন্তঃস্থ গ্রহ বলা হয় এবং বৃহস্পতি শনি ইউরেনাস এবং নেপচুন বাকি এই চারটি গ্রহকে বহিঃস্থ গ্রহ বলা হয়। সৌরজগতের গ্রহগুলিকে এই ভাবে ভাগ করার প্রধান কারণ হলো এদের আকার,ক্ষেত্রমান ও সূর্য থেকে এদের দুরত্ব। প্রথম চারটি গ্রহের আকার দ্বিতীয় চারটি গ্রহের আকারের তুলনায় অনেক কম।
অন্তঃস্থ গ্রহ কাকে বলে
সৌরজগতের যে সমস্ত গ্রহ সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে এবং আকারে ছোট হয় তাকে অন্তঃস্থ গ্রহ বলে যেমন বুধ শুক্র পৃথিবী ও মঙ্গল হলো সৌরজগতের অন্তঃস্থ গ্রহ।
বহিঃস্থ গ্রহ কাকে বলে
সৌরজগতের যে সমস্ত গ্রহ সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করে এবং আকারে অন্তঃস্থ গ্রহের তুলনায় বড় হয় তাকে বহিঃস্থ গ্রহ বলে। যেমন বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন হলো বহিস্থ গ্রহ।
সৌরজগতের অস্তঃস্থ ও বহিঃস্থ গ্রহগুলির মধ্যে পার্থক্য
অন্তঃস্থ গ্রহগুলি আয়তন ও ক্ষেত্রমান বহিস্থ গ্রহের থেকে ছোট হয়।
বহিস্থ গ্রহগুলি আয়তন ও ক্ষেত্রমান অন্তঃস্থ গ্রহের তুলনায় বড় হয়।
সূর্য থেকে অন্তঃস্থ গ্রহগুলির দুরত্ব কম এই গ্রহ গুলি সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে।
সূর্য থেকে বহিস্থ গ্রহগুলির দুরত্ব বেশি এই গ্রহ গুলি সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করে।
অন্তঃস্থ গ্রহগুলির পারস্পরিক দুরত্ব কম। এই গ্রহ গুলি পরস্পর কাছাকাছি অবস্থিত।
বহিস্থ গ্রহগুলির পারস্পরিক দুরত্ব বেশি। এই গ্রহ গুলি পরস্পর পরস্পরের থেকে দূরে অবস্থান করে।
অন্তঃস্থ গ্রহগুলি সূর্যের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এই গ্রহ গুলির উষ্ণতা খুব বেশি।
বহিস্থ গ্রহগুলি সূর্য থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় উষ্ণতা কম হয়।
বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল হল অন্তঃস্থ গ্রহের উদাহরণ
বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন হলো বহিস্থ গ্রহের উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ
Bal bahi.
উত্তরমুছুনAkbara balar moto.
Mangmarani bhai
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন