মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2021

মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা ২০২১ ( Madhyamik Geography Suggestions 2021 ) সালের সাজেশন গুলি নিচে দেওয়া হল । এই মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021 এখানে দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল থেকে সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন গুলির উত্তর দেওয়া হয়েছে। যেগুলি আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

মাধ্যমিক ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল

1. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
আজকের দিনে আমরা যে পৃথিবী দেখি বহু কোটি বছর আগে তার চেহারা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম । পৃথিবী সৃষ্টির সময় ছিল একটি প্রকাণ্ড উত্তপ্ত আগুনের পিণ্ড । ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করার ফলে ঠাণ্ডা হতে শুরু করে । এই সময় কিছু গ্যাস পৃথিবীর আকর্ষণে পৃথিবীর চারিদিকে ভাসতে থাকে । এই গ্যাস গুলি নিয়ে পৃথিবীর বায়ু মণ্ডল তৈরি হয় । পৃথিবীর গায়ে চাদরের মতো বায়ুস্তর লেগে আছে । একে বলা হয় বায়ু মণ্ডল 

2. অধঃক্ষেপণ কাকে বলে?
বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তরল ও কঠিন অবস্থায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভূপঠে নেমে এলে তাকে অধঃক্ষেপণ বা বৃষ্টিপাত বলে।

3. অ্যারোসলের গুরুত্ব কী?
বায়ুমণ্ডলে এরোসল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা বিভিন্নভাবে বায়ুর স্তর বা বায়ুমন্ডলকে গঠন করতে সাহায্য করে। বায়ুমণ্ডলের অ্যারোসলের কয়েকটি গুরুত্ব সম্পর্কে নিচে লেখা হলো - 

•আমরা যে আকাশকে নীল দেখি তা বাতাসে এত পরিমান ধূলিকণা বা অ্যারোসল আছে বলেই তাকে আমরা নীল রঙের দেখতে পারি।
•বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা কে আশ্রয় করেই জলীয়বাষ্প জল বিন্দুতে পরিণত হয় এবং মেঘ ও কুয়াশা সৃষ্টি হয়।
•বায়ুমণ্ডলের যদি এরোসল না থাকতো তাহলে সূর্যের আলো বিচ্ছুরিত হতো না।

4. উপাদান অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে কী কী স্তরে ভাগ করা হয়?
বায়ুমণ্ডলকে উপাদান ও রাসায়নিক গঠন অনুসারে মূলত ২ টি স্তরে ভাগ করা যায় ।
যথা- 
(১) সমমন্ডল (Homosphere) এবং (২) বিষমমন্ডল (Heterosphere) ।

5. ট্রপোপজ কাকে বলে?
ট্রপোস্ফিয়ারের যে সর্বোচ্চ সীমায় (3 কিমি পর্যন্ত অংশে) উষ্ণতা ধ্রুবক থাকে বা বাড়ে কমে না,উষ্ণতা হ্রাস থেমে যায়,তাকে ট্রপোপজ(Tropopause) বলে।

6. স্ট্র্যাটোপজ কাকে বলে?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে দিয়ে যতই উঁচুতে ওঠা যায় ততই উত্তাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং (উত্তাপ) ৫০ কিমি উচ্চতায় সর্বোচ্চ (০° সেন্টিগ্রেড) হয় । তবে ৫০ কিমির বেশি উচ্চতা থেকে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা  আবার কমতে শুরু করে, অর্থাৎ তাপমাত্রার বৃদ্ধি থেমে যায় বা পজ  করে । স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রার স্থিতাবস্থা থাকায় এই অঞ্চলকে স্ট্র্যাটোপজ বলা হয় ।

7. মেসোপজ কাকে বলে ?
মেসোস্ফিয়ারের ওপরে যে উচ্চতায় তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়া থেমে যায়- অর্থাৎ পজ্‌ করে, তাকে মেসোপজ বলে ।

৪. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে শান্তমণ্ডল বলে কেন?
স্ট্রাটোস্ফিয়ার এ মেঘ ঝড়-বৃষ্টি কিছুই হয়না তাই স্ট্রাটোস্ফিয়ার কে  শান্ত মন্ডল বলে।

9. আয়নোস্ফিয়ার কাকে বলে?
ভূপৃষ্ঠের ঊর্ধ্বে ৮০ কিমি থেকে ৫০০ কিমি পর্যন্ত উচ্চতায় বিস্তৃত হালকা বায়ূস্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলা হয় ।

10. চৌম্বকমণ্ডল কাকে বলে?
এক্সস্ফিয়ারের পর থেকে 10000 কিমি অর্থাৎ বায়ু মন্ডলের শেষ পর্যন্ত এই এলাকাকে বলা হয় ম্যগনেটোস্ফিয়ার।

11. ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় কী?
ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় । বায়ুমণ্ডলের 3000 – 16000 কিমি ’ র মধ্যে সৌরবাত ( Solarwind ) থেকে ইলেকট্রন ও প্রােটন আয়নগুলির সংঘর্ষ ও পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের কেন্দ্রীভবনের ফলে মহাজাগতিক রশ্মির ক্রিয়ায় যে বলয়ের সৃষ্টি করেছে , তাকে Van Allen Radiation Belts বলে । 

12. এল নিনো বলতে কী বোঝো?
এল নিনো হচ্ছে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার বৃদ্ধি। আর তাপমাত্রার হ্রাসকে বলে লা নিনা। এলো নিনো বা লা নিনা কখন ঘটবে তার কোন নির্দিষ্টতা নাই। তবে প্রতি ৩ থেকে ৮ বছরের মাঝে দেখা যায়।

13. বিষুবরেখা কাকে বলে?
পৃথিবীর দুই মেরুর ঠিক মাঝ বরাবর পূর্ব পশ্চিমে কল্পিত রেখার নাম নিরক্ষ রেখা বা বিষুব রেখা। 

14. ইনসোলেশন কী?
সূর্যের আলোর 200 কোটি ভাগের এক ভাগ মাত্র পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় এর নাম ইন্সুলেশন বা আগত সৌর বিকিরণ ।

15. কার্যকরী সৌর বিকিরণ কাকে বলে?
সূর্য থেকে যে পরিমাণ তাপশক্তি ও আলোক রশ্মি পৃথিবীতে আসে, তাকে আগত সৌর কিরণ বলে। সূর্য থেকে আগত এই সৌরকিরণের 66% বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে এবং বাকি 34% মহাশূন্যে ফিরে যায়। আগত সৌরকিরণের যে 66% বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে তাকে, কার্যকরী সৌর বিকিরণ বলে।

16. পৃথিবীর অ্যালবেড়ো কী?
সূর্য থেকে যে পরিমাণ তাপশক্তি ও আলোক রশ্মি পৃথিবীতে আসে, তাকে আগত সৌর কিরণ বলে। সূর্য থেকে আগত এই সৌরকিরণের 66% বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে এবং বাকি 34% মহাশূন্যে ফিরে যায়। আগত সৌরকিরণের যে 34% মহাশূন্যে ফিরে যায়, তাকে অ্যালবেডো বলে।

17. সমোষ্ণরেখা কাকে বলে?
কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ভূপৃষ্ঠের যেসব জায়গার তাপমাত্রা সমান থাকে,সেসব জায়গার উপর দিয়ে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমোষ্ণ রেখা বলে।

18. কোরিওলিস বল কী?
পৃথিবীর আবর্তনজনিত ঘূর্ণনের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠস্থ যে কোনো স্বচ্ছন্দ, গতিশীল বস্তুর উপর একধরনের বল কাজ করে, যা উক্ত বস্তুর দিক বিক্ষেপ ঘটায় । এই বলকে কোরিওলিস বল (Coriolis Force) বলে ।

19. জিওস্ট্রোফিক বায়ু কী?
চাপ গ্রেডিয়েন্ট বল এবং কোরিওলিস ডিফ্লেকশন ফোর্সটি ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তাকে জিওস্ট্রোফিক বায়ু বলে।

20. স্থানীয় বায়ু কাকে বলে?
ভূপ্রকৃতি, মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ ইত্যাদির আঞ্চলিক পার্থক্যের কারণে বায়ু চাপের তারতম্য ঘটলে স্থানীয়ভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে স্থানীয় বায়ু বলে। যে অঞ্চল থেকে এই বায়ু প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলের স্থানীয় ভাষায় এই বায়ুর নামকরণ করা হয়।ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত অঞ্চলে পৃথিবীর সবথেকে বেশি স্থানীয় বায়ু প্রবাহিত হয়।

21. মৌসুমি বায়ু কাকে বলে?
বায়ুচাপ ও বায়ুর উষ্ণতার পার্থক্যের ফলে বছরের নির্দিষ্ট ঋতুতে নির্দিষ্ট দিক থেকে প্রবাহিত ও নির্দিষ্ট অভিমুখে ধাবিত বায়ুপ্রবাহকে মৌসুমী বায়ু (Monsoon Wind) বলে ।

22. চিনুক কী?
আর্দ্র বায়ু উপকূলীয় পর্বতের প্রতিবাত ঢাল বরাবর উপরে উঠে মেঘ ও বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করার পর অনুবাত অঞ্চলে নেমে এসে উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুরূপে প্রবাহিত হয় । উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতের অনুবাত ঢালে প্রবাহিত এরকম উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুপ্রবাহ চিনুক (Chinook) নামে পরিচিত ।

23. ক্যাটাবেটিক বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে?
রাতের বেলা বিকিরণের ফলে পর্বতের গা এবং উপত্যকা শীতল হয়ে পড়ে । শীতল ভূমির সংস্পর্শে এসে ভূমি সংলগ্ন বায়ুও শীতল হয় । ফলে এই শীতল ও ভারী বায়ু পর্বতের গা ও উপত্যকা বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসে । রাতের বেলা উপত্যকা বেয়ে নিম্নগামী এই বায়ুপ্রবাহকে পার্বত্য বায়ু (Mountain Wind) ও পর্বতের গা বেয়ে নীচের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে ক্যাটাবেটিক বায়ু (Katabatic Wind) বলে ।

24. অ্যানাবেটিক বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে?
দিনের বেলা সূর্যকিরণের প্রভাবে পর্বতের মধ্যভাগের তুলনায় উর্দ্ধভাগ ও উপত্যকার তলদেশ অপেক্ষাকৃত বেশী উত্তপ্ত হয়ে পড়ে । যার ফলে সংশ্লিষ্ট বায়ুস্তরও উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে পর্বতের গা বেয়ে এবং উপত্যকার উজান বরাবর উপরের দিকে প্রবাহিত হয় । উপত্যকার উজান বরাবর প্রবাহিত ঊর্দ্ধগামী বায়ুকে উপত্যকা বায়ু (Valley Wind) ও পর্বতের ঢাল বরাবর উপরের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে ঊর্দ্ধঢাল বায়ু (Upslope Wind) বলে । এই ঊর্দ্ধঢাল বায়ুরই অপর নাম অ্যানাবেটিক বায়ু (Anabatic Wind)।

25. স্থলবায়ু কী?
মূলতঃ সন্ধ্যাবেলার পর থেকে সারা রাত্রি (বিশেষত ভোরবেলা) স্থলভাগ থেকে সমুদ্রভাগের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে স্থলবায়ু (Land Breeze) বলে ।

26. সমুদ্রবায়ু কী?
মূলত দিনের বেলা (বিশেষত অপরাহ্নে) সমুদ্রভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে সমুদ্রবায়ু (Sea Breeze) বলে ।

27. জেট বায়ু কী?
প্রধানত: ৩০° অক্ষাংশে পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে বায়ুমন্ডলের ৮-১৫ কিলোমিটার ঊর্দ্ধে ট্রপোস্ফিয়ারে অতি প্রবল গতিসম্পন্ন বায়ুপ্রবাহ পশ্চিম থেকে পূর্বে আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয় । এই ঝড়ের মতো তীব্র গতিসম্পন্ন পাইপের ন্যায় হাওয়া বলয়কে জেট বায়ু (Jet Stream) বলে ।

28. ঘূর্ণবাতের চক্ষু কী?
শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে এক গতিহীন, শান্ত প্রায় মেঘশূন্য অবস্থা বিরাজ করে। একে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বা ঝড়ের চক্ষু বলে।

29. টর্নেডো কী?
টর্নেডো এক ধরনের ঝড়, যাবায়ুস্তম্ভের আকারে সৃষ্ট প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণায়মান ঝড় যা মেঘ (সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস, ক্ষেত্রবিশেষে কিউমুলাস) এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের সাথে সংযুক্ত থাকে। টর্নেডোর আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি দৃশ্যমান ঘনীভূত ফানেল আকৃতির হয়, যার চিকন অংশটি ভূপৃষ্ঠকে স্পর্শ করে এবং এটি প্রায়শই বর্জ্যের মেঘ দ্বারা ঘিরে থাকে।

30. গ্রিনহাউস প্রভাব কী?
গ্রিনহাউস এফেক্ট জলবায়ু উষ্ণায়নের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা পৃথিবীর রেডিয়েটিভ এবং তাপ ভারসাম্যকে হস্তক্ষেপ করে। এটি বায়ুমণ্ডলে থাকা গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি (জিএইচজি) দ্বারা সৃষ্ট হয়, যথা প্রধানত জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড সিও 2 এবং মিথেন সিএইচ 4।
এই প্রভাবটির নাম দেওয়া হয়েছে সংস্কৃতি ও উদ্যানের গ্রিনহাউসগুলি নির্মাণের কেন্দ্রের অনুশীলনের সাথে এবং সূর্যের তাপকে উত্তপ্ত হতে দেয় এবং গাছগুলিকে কৃত্রিম অণু-জলবায়ু থেকে উপকারের সুযোগ দিতে যাতে এটি ভিতরে আটকে থাকে তা ধরে রাখে।

এই সাইটের মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে যেমন এই সাজেশন গুলি ফলো করলে আপনি পরিক্ষায় ৯০% কমন প্রশ্ন পাবেন। ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার জন্য অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর রয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সাধারণ জ্ঞান, বিভিন্ন পরিক্ষার প্রস্তুতি, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনার এই মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন গুলি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন যাতে তারাও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারে আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন