Madhyamik Geography Question Answer 2021 - মাধ্যমিক ভূগোল 2021
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2021 ( Madhyamik Geography Question Answer 2021 ) মাধ্যমিক ভূগোলের সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হয়েছে । এই মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021 এখানে তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডল থেকে সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন গুলির উত্তর দেওয়া হয়েছে। যেগুলি আগামী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2021 - তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডল
১. শৈবাল সাগর কী?
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে যে উপসাগরীয় স্রোত , উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত , ক্যানারী স্রোত প্রভৃতি মিলিত হয়ে একটি জলাবর্তের সৃষ্টি করে যার মধ্যভাগ স্রোতবিহীন । ফলে মধ্যভাগে নানারকম শৈবাল, আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় বলে এই অংশের নাম শৈবাল সাগর ।
২. হিমপ্রাচীর কী?
শীতল সমুদ্র স্রোতের গাঢ় সবুজ জলরাশি ও উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের হালকা নীল জলরাশি যে সীমা রেখায় মিলিত হয়, তাকে হিমপ্রাচীর বলে।
৩. মগ্নচড়া কী?
উষ্ণ ও শীতল মিলন স্থলে শীতল স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা হিমশৈল উষ্ণ স্রোতের সংস্পর্শে এসে গলে যায়। এরফলে হিমশৈলের মধ্যে থাকা নুড়ি,বালি,পাথর ইত্যাদি সমুদ্র বক্ষে দীর্ঘকাল ধরে জমতে থাকে এবং নিমগ্ন ভূমিভাগের সৃষ্টি করে একে মগ্নচড়া বলে।
৪. মৌসুমী স্রোত কাকে বলে?
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর ভারতমহাসাগরের উত্তর উপকূল বরাবর যে স্রোত প্রবাহিত হয় তাকে মৌসুমী স্রোত বলে।
৫. সমুদ্রস্রোত কাকে বলে?
পৃথিবীর আবর্তন ও নিয়ত বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্র জলের লবণত্ব, ঘনত্ব ও উষ্ণতার পার্থক্যের জন্য সমুদ্রের জল নিয়মিত ভাবে সারা বছর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয় । সমুদ্র জলের এই গতিকে সমুদ্রস্রোত বলে।
৬. ষাঁড়াষাঁড়ি বান কাকে বলে?
ষাঁড়াষাঁড়ি বান হল বিশেষ একটি নদীর বিশেষ সময়ের বান । বর্ষাকালে হুগলি নদীতে ভরা জোয়ারের সময় নদীর গতিপথের বিপরীত দিকে ভীষণ গর্জন করে যে প্রবল বান আসে তাকে ষাঁড়াষাঁড়ি বান বলে ।
৭. সিজিগি কাকে বলে?
চাঁদ , সূর্য এবং পৃথিবী যখন একটি সরলরেখায় অবস্থান করে তখন সেই অবস্থানকে সি. জি. গি. বলে।
৮. সংযোগ অবস্থান ও প্রতিযোগ অবস্থান কাকে বলে?
১) পূর্ণিমার দিন যখন পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে একটি সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন তাকে প্রতিযোগ অবস্থান বলে । আবার অমাবস্যার দিনে যখন সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীর একই দিকে এবং একটি সরলরেখায় অবস্থান করে তখন তাকে সংযোগ অবস্থান বলে।
৯. ভরা জোয়ার কাকে বলে?
পৃথিবীর সব জায়গায় সব সময় জোয়ারের পরিমাণ একই থাকেনা । তিথি অনুসারে জোয়ার ভাটা বাড়ে এবং কমে । পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে যখন চাঁদ ও সূর্যের মিলিত বলের প্রবল টানে যে তীব্র জোয়ারের সৃষ্টি হয় তাকে ভরা জোয়ার বা ভরা কোটাল বা তেজ কোটাল বলে ।
১০. মরা জোয়ার কাকে বলে?
সূর্যের আকর্ষণ শক্তি চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তির প্রায় অর্ধেক তাই শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে সূর্য ও চন্দ্র যখন পৃথিবীর সঙ্গে একই সরলরেখায় না থেকে সমকোণে অবস্থান করে তখন পৃথিবীর যে স্থানটি চন্দ্রের সবচেয়ে কাছে থাকে, সেই স্থানটি চন্দ্র যখন আকর্ষণ করে এবং ভূপৃষ্ঠের যে স্থানটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে, সূর্যও তখন সেই স্থানটিকে আকর্ষণ করে । ফলে ওই অবস্থায় চন্দ্রের প্রভাবে যেখানে জোয়ার হয়, এবং তার প্রায় সমকোণী স্থানে সূর্যের প্রভাবেও জোয়ার হয় । এর ফলে চাঁদের আকর্ষণে যে দুই স্থানের জল ফুলে উঠতে চেষ্টা করে, সেই দুই স্থানে সূর্যের আকর্ষণ জলের উচ্চতা কম করতে চেষ্টা করে । এর ফলে জোয়ারের তীব্রতা কমে যায় এবং ভাটার ফলে জলের অবনমনও কিছুটা কমে যায়, ফলে জোয়ার এবং ভাটার জলতলের পার্থক্য অস্বাভাবিক হ্রাস পায় । এই রকম জোয়ারকে মরা জোয়ার বা মরা কোটাল বলে।
১১. উপসাগরীয় স্রোত (Gulf Current) কাকে বলে?
যে স্রোত উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ম্যাক্সিকো উপসাগর থেকে উৎপন্ন হয় তাকে উপসাগরীয় স্রোত বলে।
১২. নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে ঘন কুয়াশা, ঝড় সৃষ্টি হয় কেন?
উষ্ণ স্রোতের উপর দিয়ে উষ্ণ এবং আদ্র বায়ু প্রবাহিত হয় এবং শীতল স্রোতের উপর দিয়ে শীতল ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হয়। উষ্ণ ও শীতল দুটি স্রোতের মিলনস্থলে উভয়ের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া উষ্ণ ও আর্দ্র এবং শীতল ও শুষ্ক বায়ু পরস্পরের সংস্পর্শে এসে ওই স্থানে ঘন কুয়াশা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়। নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকুলে উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত এবং শীতল ল্যাব্রাডার স্রোতের মিলনস্থল ফলে এই উপকূলে ঘন কুয়াশা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন